সীমানা জটিলতায় লাশ উদ্ধারে অবহেলা

5

বারহাট্টা প্রতিনিধি : নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ জেলার মাঝখানে খড়মা নদীর কিনারায় একটি লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে।

লাশটি রোববার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানার সীমানা মেদা বিলের কিনারায় ছিলো। সোমবার (২১ জুলাই) ভোরবেলায় লাশটি নেত্রকোনার বারহাট্টা থানার সীমানায় খড়মা নদীর এক কিনারায় দেখা গেছে। লাশের ব্যপারে দুই থানায় খবর পৌঁছলেও এখন পর্যন্ত লাশ উদ্ধারে তেমন ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেছেন এটা বারহাট্টার সীমানায়। আপনারা বারহাট্টা থানার ওসির সংগে যোগাযোগ করেন।

বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটা ধর্মপাশা থানার আওতায় ছিলো। রাতে লাশটি ভেসে বারহাট্টা থানার সীমানায় এসেছে। নদীতে লাশ উদ্ধারের দায়িত্ব নৌ পুলিশের। তাদের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। তারা এই লাশের ব্যপারে যাবতীয় ব্যবস্থা নেবে।

নেত্রকোনা জেলার আওতায় লিপসা নৌ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এখনও যায়নি। লিপসা থেকে নদীপথে সেখানে যেতে ৫/৬ ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন। এই সময় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই লাশটি রোববার সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ছিলো। রাতের বেলা এই লাশটি উদ্ধার না করায় ভেসে নেত্রকোনা সীমানায় ঠেকেছে। এই লাশটি একটি বিলে ছিলো, এটা নৌ পুলিশের কাজ না।

চিরাম ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জহিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল এই লাশটি সুনামগঞ্জের সীমানায় কাকিয়াম গ্রামে ছিলো। সোমবার ভোরবেলায় এই লাশটি নেত্রকোনার সীমানায় বারহাট্টা খাশিকোনা গ্রামে এসে লেগেছে। লাশটি একদম পঁচে গেছে। চেনার কোন উপায় নেই। তবে পুরুষ মানুষের যে লাশ এটা বুঝা যায়। আমি সকাল বেলায় বারহাট্টা থানায় যোগাযোগ করেছি। তারা আমাকে নৌ পুলিশের নাম্বার দিয়েছে। নৌ পুলিশের সাথে আমি যোগাযোগ করলে তারা বলেছে আসতেছে কিন্তু এখনও (বিকাল ৪ ঘটিকায় পর্যন্ত) কেউ আসেনি। লাশের পাশে ধর্মপাশার একজন গ্রাম পুলিশ ও বারহাট্টার একজন গ্রাম পুলিশ কে পাহারায় বসিয়ে রেখেছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here