
গতকাল (১৮ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের নিচতলার মেঝে অগোছালো, ধুলাবালি ও ময়লায় ভর্তি। শিক্ষকরা জানান, ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয় এখনো নন-এমপিও। শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি কোনো বেতন-ভাতা পান না। আর্থিক সংকটের মধ্যেও সরকারি কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৯৭ জন, শিক্ষক ৫ জন ও খণ্ডকালীন শিক্ষক ৬ জন।
প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘২০১৮ সালে চারতলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। উপরের তিনতলা শেষ হলেও নিচতলার কাজ আর এগোয়নি। ঠিকাদার বারবার আশ্বাস দিলেও কাজ শেষ করছে না। শৌচাগার না থাকায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে।’ তিনি জানান, এ নিয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রবিন বলেন, ‘ওপরের তলা চকচকে হলেও নিচতলা ভেঙে পড়া অবস্থা। ওয়াশরুম ও ক্লাসরুমে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করা হোক।’
স্থানীয়রাও বিদ্যালয়ের এমন অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মনু মিয়া মুঠোফোনে জানান, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নিচতলার কাজ শেষ করে দেব।’
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি এখনো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে জানায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’