নেত্রকোনার দুর্গাপুরের পাহাড়ি খরস্রোতা সোমেশ্বরী নদীর ওপর নির্মাণ করা অস্থায়ী কাঠের সেতু থেকে পাঁচ মাসে প্রায় হয়েছে ৫২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪০ টাকা। আজ শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় এই তথ্য তুলে ধরেন দুর্গাপুর শিবগঞ্জ অস্থায়ী সেতু কমিটি।
২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর সাদামাটির পাহাড়, বিজয়পুর, রানিখংসহ আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকদের যাতায়াত সহজ করতে ও দুর্গাপুর থেকে শিবগঞ্জে গবাদিপশু, ছোট-বড় গাড়ি ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী স্বল্প সময়ের মধ্যে পারাপারের লক্ষ্যে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায় সোমেশ্বরী নদীর উপর কাঠ বাঁশ একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু চালু করা হয়। অস্থায়ী এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ১৫ লাখ ৪০ টাকা। এতে যাত্রী, গবাদিপশু সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ও ছোট-বড় গাড়ির জন্য ভাড়া নির্ধারিত করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের ১৫ মে খরস্রোতা সোমেশ্বরী পাহাড়ি ঢলে অস্থায়ী কাঠের সেতুটি ভেঙে যায়। ডিসেম্বর থেকে মে পর্যন্ত বিগত পাঁচ মাসে অস্থায়ী এই সেতু থেকে প্রায় হয়েছে ৫২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪০ টাকা। এর মধ্যে পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার বাবদ খরচ হয়েছে ১২ লাখ ৪০ হাজার ৪০ টাকা। এ ছাড়া অস্থায়ী সেতু নির্মাণকালীন খরচ ১৫ লাখ ৪০ হাজার বাদ দিয়ে এখন পর্যন্ত অবশিষ্ট রয়েছে ২৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬০০। এই টাকা স্থানীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে দুর্গাপুর শিবগঞ্জ অস্থায়ী সেতু কমিটি।
মতবিনিময় সভায় অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ জিন্নাহ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আলম, তেরিবাজার বড় মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আব্দুর রব, শিবগঞ্জ বায়তুল তাকওয়া জামে জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. ওয়ালি উল্লাহ, কুল্লাগড়া শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রভাত চন্দ্র সাহা ও খ্রিস্টান ধর্মীয় প্রতিনিধি মিস্টার পংকজ সাংমাসহ প্রমুখ।