নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রশান্ত কুমার রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নেত্রকোনা শহরের বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র ছিলেন।
দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৭ আগস্ট থেকে নেত্রকোনার ১০টি থানায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৬০টি মামলা হয়। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। নেত্রকোনা মডেল থানা ও বারহাট্টা থানায় দায়ের হওয়া মামলার মধ্যে প্রশান্তকে অন্তত আটটি মামলায় আসামি করা হয়। কিন্তু তিনি আত্মগোপনে থাকার পর গত ২০ জুন সকালে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল হয়। জেলা শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে মিছিল শুরু করে ছোট বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এলে প্রশান্ত কুমার রায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। এসব কর্মসূচির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে একই দিন সন্ধ্যা ও রাতে জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও খেলাফত আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে প্রশান্তর গ্রেপ্তারের দাবি জানান। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে দুর্বৃত্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রশান্ত কুমার রায়ের চারতলা বাসায় হামলা চালিয়ে আসবাবসহ সবকিছু ভাঙচুর, টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় বাসায় প্রশান্তর স্ত্রী, বড় ভাই ও তাঁর স্ত্রী ছিলেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা প্রশান্ত কুমার রায়কে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ভোরে ঝটিকা মিছিল করার পর আত্মগোপনে গিয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন। তাঁকে থানায় আনা হয়েছে, আদালতে তোলা হবে।