Home নেত্রকোণা ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে নারী কারাগারে

ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে নারী কারাগারে

2

নেত্রকোনার বারহাট্টায় এক কিশোরীকে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে পারুল আক্তার (৪৫) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে রাতেই ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে পারুল আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মূল অভিযুক্ত কিবরিয়া (২৮) পালিয়ে গেছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পারুল আক্তারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত কিবরিয়া উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে। আর ভুক্তভোগী কিশোরী তার প্রতিবেশী। গ্রেফতার পারুল আক্তার একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী।

মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীকে কৌশলে ডেকে নিজের ঘরে নিয়ে যান প্রতিবেশী পারুল আক্তার। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল কিবরিয়া। ঘরের বাইরে থেকে সিটকিনি লাগিয়ে অন্যত্র চলে যান পারুল। এদিকে সুযোগ পেয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন কিবরিয়া। পরে তিনি তাকে বিয়ের আশ্বাস দেন। বিষয়টি প্রথমে ভয়ে পরিবারকে জানায়নি ভুক্তভোগী। তবে পরিবর্তীতে ভুক্তভোগী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। কিবরিয়া প্রথমে বিয়ের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে সবকিছু অস্বীকার করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে  কিবরিয়া ও পারুলকে আসামি করা হয়। মামলায় কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। আর পারুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে। পরে রাতেই পারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে পালিয়ে যায় কিবরিয়া।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানায়, আমরা গরিব মানুষ। ত্রিপলের ঘরে বসবাস করি। আমার স্বামী ভাড়ায় অন্যের অটোরিকশা চালায়। কিবরিয়া আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে সর্বনাশ করেছে। আলট্রাসনোগ্রাম করে জেনেছি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।

কিশোরীর বাবা জানান, কিবরিয়ারা প্রভাবশালী। আমি দিন এনে দিন খাই। তাদের সঙ্গে আমি পারব না। আমি ন্যায় বিচার চাই।

বারহাট্টা থানার ওসি মো. কামরুল হাসান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পারুল আক্তার নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।  এদিকে ওই কিশোরীকেও জবানবন্দি দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। মূল আসামি কিবরিয়া পালিয়ে গেছে। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নেত্রকোন কোর্ট পুলিশের জিআরও এএসআই আমজাদ হোসেন জানান, পারুল আক্তারকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here