বারহাট্টা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার বারহাট্টায় ১৬ বছরের এক কিশোরীকে গত পাঁচ মাস আগে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী এক যুবক। বর্তমানে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। এই ব্যপারে বারহাট্টা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। এরপর ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম পারুল আক্তার (৪৫) তিনি উপজেলা চন্দ্রপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। ধর্ষণ মামলার প্রধান আসমী চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে। অভিযানের সময় সে পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ এখনও তাকে আটক করতে পারে নি।
থানায় মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত কিবরিয়া ২ নং আসামি পারুল আক্তারের বাড়িতে আগেই অবস্থান করছিল। ঘটনার সময় পারুল আক্তার ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে তার বাড়িতে যায়। পরবর্তীতে ঘরের বাহিরের সিটকারী লাগিয়ে চলে যায় পারুল। তখন সুযোগ পেয়ে খালি ঘরে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত কিবরিয়া। বিষয়টি প্রথমে ভয়ে পরিবারকে জানায় নি ভুক্তভোগী। তবে পরিবর্তীতে ভুক্তভোগী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। কিবরিয়া প্রথমে বিয়ের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে সবকিছু অস্বীকার করে।
ভুক্তভোগীর বাবা তোফাজ্জল মিয়া বলেন, আমার মামী পারুল আক্তার ঘটনার দিন আমার মেয়েকে খাবার খাওয়া থেকে ডেকে নিয়ে যায়। আমার মেয়েকে নিয়ে তার খালি ঘরে কিবরিয়ার সাথে একা রেখে ঘরের বাহিরে শিকল লাগিয়ে দেয়। এখন আমার মেয়ের পেটে বাচ্চা। আমি এর বিচার চাই।
সিংধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিম তালুকদার বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার টি আমার কাছে এসেছিলো, আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। আমি চাই প্রকৃত অপরাধী শাস্তি পাক।
বারহাট্টা থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন, এই ঘটনা নিয়ে যখন সংবাদ প্রচার হয়েছে তখন আমরা জেনেছি। এর আগে কেউ থানায় অভিযোগ করতে আসেনি। পরবর্তীতে আমরা ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা শুনে রাতে একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করে ২ নং আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ১ নং আসামী পলাতক রয়েছে, তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পরিক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে।