
শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের পদযাত্রার বিভিন্ন বিষয় অবহিত করেন জেলা শাখা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। এরমধ্যে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান বলেন, এ কর্মসূচি ঘিরে সারা দেশে যেমন সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া মিলেছে, তেমন কিছু মহল অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেই অপপ্রচার জনগণ ব্যর্থ করে দিয়েছে। তিনি নেত্রকোনার এনসিপির এ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
কর্মসূচি রোববার সকাল ১০ টার দিকে জেলা শহরে পদযাত্রা করে শহরের মুক্তারপাড়া এলাকার পুরাতন কালেক্টরেট মাঠে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।
সংগঠনটির উত্তরাঞ্চলের কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম সোহাগ বলেন, নেত্রকোনায় অনুষ্ঠেয় জুলাই পদযাত্রায় উপস্থিত থাকবেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, ডক্টর তাসনিম জারাসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। তিনি কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনসহ নেত্রকোনাবাসীকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
দলীয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার পর থেকে দলটি যেখানে সমাবেশ করে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আগামীকাল রোববার নেত্রকোনায় দলের সমাবেশ ঘিরে চার শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বাইরে থেকে ৬৬ জন পুলিশ আনা হবে।
কেন্দ্রীয় নেতাদের নেত্রকোনায় প্রথমবার আগমন ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সার্বিক বিষয় এবং নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত সাহেব আলী পাঠান বলেন, আগামীকাল রোববার নেত্রকোনায় এনসিপির সমাবেশ ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সমাবেশ ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।