পাশের গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে নতুন বউকে নিয়ে এলেন বর। শুক্রবার হেলিকপ্টার করে নববধুকে নিজগ্রাম নায়েকপুর পূর্বপাড়ায় নিয়ে আসেন। নেত্রকোনা মদন উপজেলায় নায়েকপুর পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরিবারের তৃতীয় ছেলে মোহাম্মদ মাসুম খান। আজ পার্শ্ববর্তী ফতেপুর ছত্রকোনা গ্রামের কৃষক আশাহিদ তালুকদারের মেয়ে রিমা আক্তারের সঙ্গে মোহাম্মদ মাসুম খানের বিয়ে হয়। তিনি বেলা দুইটায় জুম্মার নামাজের পর উপজেলার নায়েকপুর পূর্বপাড়া সামনের জমি থেকে হেলিকপ্টারে করে ফতেপুর ছত্রকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নামেন। এই দুই ¯’ানের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার।
বিদ্যালয় মাঠ থেকে তিনি কনের বাড়িতে যান। তার আগেই বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে গিয়ে উপ¯ি’ত হন। মধ্যাহ্নভোজের পর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনেকে নিয়ে তিনি হেলিকপ্টারে ওঠেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তিনি ছত্রকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নববধূকে নিয়ে অবতরণ করেন। সেখান থেকে সরাসরি বাড়িতে যান। বর-কনেসহ হেলিকপ্টারটি ওই বোরো মাঠে নামালে উৎসুক এলাকাবাসী সেখানে ভিড় করেন।
বর ট্রাক্টও চালক মোহাম্মদ মাসুম খান বলেন, আমি একজন ট্রাক্টর চালক। আমার ইচ্ছে ছিল আমার বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি নিয়ে আসব। আমার পরিবার ১লাখ ৭২ হাজার টাকায় হেলিকপ্টার ভাড়া করে এই ইচ্ছে পূরণ করেছে। হেলিকপ্টারে করে বউ আনতে পেরে বর মাসুম খানসহ পরিবারের সবাই খুশি। হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরবাড়িতে আসতে পেরে নতুন বউও খুব খুশি।
বর মোহাম্মদ মাসুম খানের বাবা মোঃ মতিউর রহমান খান বলেন, আমার ছেলের ই”ছা ছিল তার বউ হেলিকপ্টাওে বাড়িতে আনবে। তাই আমি আমার ছেলের বউ আনতে এ ব্যাবস্থা করেছি। এতে আমিও আমার পরিবার খুবই খুশি।
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার সফি জানান, হেলিকপ্টারে বরযাত্রী আসার বিষয়টি তাঁদের উপজেলায় এই প্রথম। স্থানীয় বাসিন্দারাসহ আমরা এ বিয়ের অনুষ্ঠান খুবই উপভোগ করেছেন।