ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

ভারতকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ২৬ আগস্ট ২০২৪  

ভারতকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ

ভারতকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সোমবার আনফা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে খেলাটি শুরু হয়। টাইব্রেকারে ভারতকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে লাল-সবুজরা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ ব্যবধানে ড্র ছিল। আগামী বুধবার ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথম সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ভুটানকে ৪-১ গোলে হারিয়ে রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলার টিকিট কাটে তারা। এই ম্যাচেও নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বদলি গোলরক্ষক হিসেবে নেমেছিলেন মো. আসিফ। টাইব্রেকারে তিনিই বাংলাদেশের জয়ের নায়ক। ভারতের প্রথম শটই আটকে দেন তিনি। ফলে শুরু থেকে টাইব্রেকারে লিডে ছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ টানা চার শটে গোল করে ভারতকে চাপে রাখে। পঞ্চম শটে ভারতকে গোল করতেই হতো। প্রথম শটের মতো পঞ্চম শটও ঠেকিয়ে বাংলাদেশের ফাইনাল নিশ্চিত করেন গোলরক্ষক আসিফ।

এর আগে ম্যাচের শুরু থেকে দুই দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে। ভারত তুলনামূলক বেশি আক্রমণ করলেও ফিনিশিং দক্ষতার অভাবে গোল পায়নি। অন্য দিকে বাংলাদেশ একটি দুর্দান্ত সংঘবদ্ধ আক্রমণে লিড নেয়।

ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে আসা ক্রস ভারতীয় গোলরক্ষক পুরোপুরি সেভ করতে পারেননি। পোস্টের সামনে থাকা আসাদুল মোল্লা ঠান্ডা মাথায় প্লেসিং করে বল জালে পাঠান।

প্রথমার্ধে বাকি সময়ে বাংলাদেশ লিড বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। ভারতও সমতা আনার সুযোগ তৈরি করেছিল। তবে ৪৫ মিনিট শেষে অতিরিক্ত ৫ মিনিটেও ম্যাচের স্কোরলাইন পরিবর্তন হয়নি।

বাংলাদেশের রক্ষণভাগ দ্বিতীয়ার্ধে ভেঙে পড়ে। ভারত একাধিকবার বাংলাদেশের রক্ষণ ভেদ করে প্রবেশ করেছিল। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ বেশ কয়েকবার এগিয়ে এসে বল মিস করেছেন।

৬৫ মিনিটের দিকে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন শ্রাবণ। সিনিয়র জাতীয় দলে খেললেও শ্রাবণ আজ একেবারেই নড়বড়ে ছিলেন। গোলরক্ষক বদলের পর বাংলাদেশ গোল হজম করে। এক সংঘবদ্ধ আক্রমণে জটলায় ভারত ৭২ মিনিটে সমতা আনে।

সমতা আনার পর ভারত বাংলাদেশের উপর আরো চাপ বাড়ায়। বাংলাদেশ রক্ষণে মনোযোগ দিয়ে সময় শেষে মনোযোগ দেয়। ইনজুরি সময় পাঁচ মিনিটের মাঝামাঝি বাংলাদেশ কর্ণার পায়।

সেই কর্নার অবশ্য ভীতিকর ছিল না। উল্টো তর্কে জড়িয়ে বাংলাদেশের ফুটবলার শেষ মুহূর্তে লাল কার্ড দেখেন। নির্ধারিত সময়ে ড্রয়ের পর টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী খেলা সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়