ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে যাচ্ছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ২৫ আগস্ট ২০২৪  

বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে যাচ্ছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে যাচ্ছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় প্রায় সাত লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী ও শুকনো কাপড় উত্তোলন করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেন। এরপর থেকে অফলাইন এবং অনলাইনে টাকা উত্তোলন এবং শুকনো কাপড় সংগ্রহ করতে থাকেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের দোকানগুলো থেকে গণসংযোগ চালিয়ে টাকা উত্তোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও অনলাইন মাধ্যমে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। বৈষম্য ও নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাজের ব্যানারে সাদা দল এক লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং নীল দলের পক্ষ থেকে ৭৫ হাজার টাকা বন্যার্তদের জন্য অনুদান দেওয়া হয়। এছাড়া কর্মকর্তারা ৫৬ হাজার টাকা এবং কর্মচারীরা ৫২ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে জন্মাষ্টমীর র‍্যালি স্থগিত করে পূজার বাজেটের একটি অংশ শিক্ষার্থীদের অনুদান ফান্ডে দেওয়া হয়েছে।ত্রাণ বাবদ নগদ অর্থ উত্তোলনের পর ত্রাণসামগ্রী কিনে তা প্যাকেজিংয়ের কাজ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে প্যাকেজিংয়ের এ কাজ শুরু হয়।ত্রাণসামগ্রী বাবদ চাল, ডাল, মুড়ি, চিনি, লাইটার, সাবান, ন্যাপকিন, স্যাভলন, খাবার স্যালাইন, পুরোনো কাপড়, ওষুধ, তেল, খাবার পানি ইত্যাদি কিনে প্যাকেজিং করছেন শিক্ষার্থীরা। প্যাকেজিং শেষে শনিবার রাতের মধ্যেই বিতরণের জন্য কুমিল্লা ও ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বলে জানিয়েছে তারা।এ বিষয়ে শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ বলেন, আমরা বন্যাকবলিত ভাই-বোনদের সহায়তার জন্য গত কয়েকদিন ধরে কর্যক্রম চালাচ্ছি। শনিবার আমাদের গণত্রাণ কর্মসূচি ছিল। এতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। অনেকে অনেকভাবে আমাদের সহায়তা করছেন। 

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়