ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

বই পোড়ানো

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ২৭ আগস্ট ২০২৪  

বই পোড়ানো

বই পোড়ানো

“তুমি কি বুঝতে পারছ যে, বইকে কেন ঘৃণা ও ভয় করা হয়ে থাকে? কারণ, তারা জীবনের মুখের ছিদ্রগুলোকে দেখিয়ে থাকে। অথচ সুখী মানুষেরা কেবল ছিদ্রহীন, লোমহীন, প্রকাশহীন মোম মাখানো চাঁদের মুখ দেখতে চায়। আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি যখন ফুলেরা ভালো বৃষ্টি ও দোআঁশ মাটির পরিবর্তে অন্য ফুলের ওপরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। 

তুমি যদি বাড়ি তৈরি করতে না চাও, তাহলে পেরেক ও কাঠগুলোকে লুকিয়ে ফেলো।

তুমি যদি একজন মানুষকে রাজনৈতিকভাবে অসুখী দেখতে না চাও, তবে তাকে উদবিগ্ন করার জন্যে কোনো প্রশ্নের দুটো দিক দিও না; কেবলই একটা দিক দিও। যদি সম্ভব হয় তাকে কোনো প্রশ্নই দিও না।

তাকে ভুলে যেতে দাও যে যুদ্ধ বলে কিছু আছে। সরকার যদি অদক্ষ, মাথাভারী ও কর-পাগল হয়, তাহলে জনগণকে  এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে দেওয়াই অধিকতর ভালো হবে।

শান্তি, শান্তির দূত - এগুলো নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা করো, যাতে জনগণ জনপ্রিয় গান, রাজধানীর নাম, এমনকি গতবছর কত কম পরিমাণে শস্য উৎপাদিত হয়েছিল তাও  ভুলে যায়। 

বরং অবিস্ফোরক  তথ্য তাদের মাথার মধ্যে ঠেসে দাও, জঘন্য 'সত্য' দিয়ে তাদের কন্ঠ অবরুদ্ধ করে দাও, যাতে তারা দমবন্ধ অথচ নিজেদেরকে পুরোপুরি তথ্য-উজ্জ্বল মনে করে।কারণ,এরপরই  তারা নিজেদেরকে ভাবুক বলে  মনে করবে এবং নড়াচড়া না করা সত্ত্বেও তাদের মধ্যে গতির অনুভূতি সৃষ্টি হবে।এবং তারা সুখী হবে, কারণ এই ধরনের সত্যগুলো কখনোই বদলায় না।

তাদেরকে কখনোই দর্শন অথবা সমাজবিদ্যার মতো পিচ্ছিল জিনিস দিও না পরস্পরের সাথে যুক্ত হবার জন্যে। এগুলো তাদের জন্যে বেদনার সৃষ্টি করবে।

আজকের দিনের একজন মানুষ যে টেলিভিশনের দেয়াল খুলে আবার জোড়া লাগাতে পারে সে অন্য যেকোনো মানুষের চেয়ে সুখী, যে স্লাইড রুল বা গণন সহায়ক যন্ত্র ব্যবহার করে পরিমাপ ও জগতের সমীকরণ করার চেষ্টা করে থাকে। কারণ, প্রথম ক্ষেত্রে কখনোই  মাপজোখ বা সমীকরণ দরকার হয় না, যা মানুষের মধ্যে নিষ্ঠুরতা ও একাকীত্বের অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।”

সর্বশেষ
জনপ্রিয়