ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় লতিকচু চাষে লাখ টাকা আয় রতনের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় লতিকচু চাষে লাখ টাকা আয় রতনের

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় লতিকচু চাষে লাখ টাকা আয় রতনের

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বোরো মৌসুমের পর পতিত জমিতে প্রথমবারের মতো লতিকচু চাষে সফল হয়েছেন রতন মিয়া। ৫০ শতক জমিতে উন্নত জাতের লতিকচু চাষে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি। অল্প সময়ের ব্যবধানে পড়ে থাকা জমি থেকে প্রায় লাখ টাকা আয় হয়েছে তার। তার সফলতা দেখে অন্য চাষিদেরও লতিকচু চাষে আগ্রহ বেড়েছে।উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের ছোটআজলদী গ্রামের চাষি রতন মিয়া। তিনি ওই গ্রামের আবদুল হেকিমের ছেলে। পেশায় একজন কৃষক। 

জানা গেছে, উপজেলা কৃষি বিভাগের সহায়তায় কন্দাল ফসল উৎপাদন প্রদর্শনীর আওতায় ওই কৃষককে ৫০ শতক জমিতে স্থানীয় উন্নত জাতের লতিকচু চাষ করানো হয়। সার ও কীটনাশকের প্রয়োগ কমিয়ে সম্পূর্ণ জৈব প্রযুক্তিতে চাষাবাদ করেন তিনি। এতে লতির ব্যাপক ফলন হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, কৃষি বিভাগ থেকে রতন মিয়াকে চারা, সারসহ অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। লতির ভালো ফলন হওয়ায় এবং স্থানীয় বাজারে এ জাতের লতির চাহিদা থাকায় আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সরেজমিন রতন মিয়ার লতিকচু বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে প্রচুর লতি ধরেছে। বাগানে রয়েছে প্রায় হাজার খানেক  কচুগাছ। এরইমধ্যে প্রায় অর্ধেক বিক্রি হয়ে গেছে। বাগানে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রতন মিয়া। 

রতন মিয়া বলেন, বোরো মৌসুম শেষে জমিটি পতিত ছিল। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে লতিকচুর প্রদশর্নী বাগান করি। প্রথমবারের মতো লতিকচু চাষে বেশ সুবিধা পাচ্ছি। গত মে মাসে চারা রোপণ করে পরিচর্যা শেষে জুলাইয়ের মাঝ থেকে বেচা শুরু করেছি। এরইমধ্যে প্রায় অর্ধ-লাখ টাকার লতি বিক্রি করেছি। আশা করি আরো ৩০-৪০ হাজার টাকার মতো বেচতে পারব। 

রতন মিয়া জানান, কৃষি বিভাগ থেকে চারা ও সার দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। কচুর আবাদ ও লাভ দেখে অন্য কৃষকেরাও আগ্রহী হচ্ছেন। আগামীতে এই জমিতে কচুর আবাদ করবেন বলেও জানান তনি। 

সিরাজ মিয়া নামে স্থানীয় এক কৃষক বলেন, লতিকচু স্বল্প সময়ের একটি আবাদ। শুধুমাত্র পরিচর্যার মাধ্যমেই রতন মিয়ার জমিতে ভালো ফলন এসেছে। বাজারে লতির সারাবছরই চাহিদা রয়েছে। আগামিতে আমিও আমার জমিতে লতিকচু চাষ করব বলে ঠিক করেছি। 

আগরপাট্টা ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল হক শামীম বলেন, প্রথমবার এই এলাকায় এ জাতের কচুর চাষ হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় এবং স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা থাকায় অন্য কৃষকেরাও কচু চাষে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদন নুর-ই-আলম বলেন, কৃষি এখন লাভজনক একটি পেশা। যারা বুঝেশুনে কৃষিকাজ করেন তারা কখনোই লোকসানে পড়েন না। জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কোনো জমিই যাতে পতিত না থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করছে উপজেলা কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়