ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৫ ১৪৩১

ইউনুস (আ.) এর দোয়া

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

ইউনুস (আ.) এর দোয়া

ইউনুস (আ.) এর দোয়া

মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া ইউনুস অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া। যেকোনো বিপদ-মসিবত ও অস্থিতিশীল সময়ে এই দোয়া পড়া সুন্নত।

দোয়া ইউনুস কি?

রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার পয়গাম্বর হজরত ইউনুস আলাইহিস সালাম দেশ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার সময় নদীতে ঝাঁপ দিলে তিনি মাছের পেটে বন্দি হন। এ অবস্থায় বিপদে পড়ে তিনি মহান আল্লাহর কাছে যে দোয়া পড়েন আর সে দোয়ার বরকতে আল্লাহ তাকে মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন, তা-ই হলো দোয়া ইউনুস। আর তাহলো, لَّا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

উচ্চারণ: ‘লা ইলাহা ইল্লা আংতা, সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বলিমিন’।

অর্থ: ‘তুমি ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র, নিশ্চয় আমি জালিমদের দলভুক্ত’।

দোয়া ইউনুসের ফজিলত

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি এই দোয়া ইউনুসের সাহায্যে আল্লাহর নিকট কিছু চাইবে, আল্লাহ তা কবুল করবেন।

অন্য হাদিস এসেছে, দোয়া ইউনুস পড়লে আল্লাহ তার দুঃশ্চিন্তা দূর করে দেবেন। (সুনানে আত-তিরমিযী: ৩৫০৫, শায়খ আলবানী হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন)

দোয়া ইউনুস পড়ার নিয়ম

বিপদ মসিবত বা দুঃশ্চিন্তার সময় এই দোয়া বেশি বেশি করে পড়তে হয়। আপনার যতবার ইচ্ছা ও যতবার সম্ভব হয়, ততবার পড়বেন।

তবে আমাদের দেশে টাকা কিংবা হাদিয়ার বিনিময়ে হুজুর বা মাদরাসার ছাত্রদেরকে ভাড়া করে ১ লাখ ২৫ হাজার বার এই দোয়া পড়ে যে ‘খতমে ইউনুস’ পড়ানো হয়, এমন দোয়া কেনাবেচা করা বিদআত। এরকম খতম করানোর কোনো দলিল নেই। আপনার যতবার সম্ভব হয় ততবার দোয়া ইউনুস পড়বেন, এত এত বার পড়তে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। আপনি নিজের জন্য নিজে যেই দোয়া করবেন, আল্লাহ তাআলার কাছে সেটাই বেশি পছন্দনীয়। ভাড়া করে হুজুর দিয়ে দোয়া পড়ানো বা কোরআন খতম পড়ানোর কোনো উপকারিতা বা প্রয়োজন নেই।

বিপদ-মসিবতে দোয়া ইউনুস পড়ার উপকারিতা

যেকোনো বিপদ-মসিবত, দুশ্চিন্তা-পেরেশানি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে দোয়া ইউনুস পাঠ করা অত্যন্ত কার্যকর আমল।

আল্লাহ তাআলা এ ফজিলতপূর্ণ দোয়াটি পবিত্র কোরআনে তুলে ধরেন এভাবে, وَذَا النُّونِ إِذ ذَّهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ أَن لَّن نَّقْدِرَ عَلَيْهِ فَنَادَىٰ فِي الظُّلُمَاتِ أَن لَّا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

অর্থ: ‘এবং জুন নুন (মাছ ওয়ালা ইউনুস) এর কথা স্মরণ করুন। তিনি রাগ করে চলে গিয়েছিলেন, অতঃপর মনে করেছিলেন যে, আমি তাকে ধরতে পারব না। অতঃপর তিনি অন্ধকারের মধ্যে আহ্বান করলেনঃ তুমি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ আমি গুনাহগার’।  (সূরা: আম্বিয়া, আয়াত: ৮৭)

পরবর্তী আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ ۚ وَكَذَٰلِكَ نُنجِي الْمُؤْمِنِينَ

অর্থ: ‘অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনি ভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি’। (সূরা: আম্বিয়া, আয়াত: ৮৮)

সর্বশেষ
জনপ্রিয়