ঘুমের মধ্যে কথা বলা : কোনো রোগের উপসর্গ, না কি নেপথ্যে অন্য কারণ?

নিউজ ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ০৩:১৮ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শুক্রবার

ঘুমের মধ্যে কথা বলা : কোনো রোগের উপসর্গ, না কি নেপথ্যে অন্য কারণ?

ঘুমের মধ্যে কথা বলা : কোনো রোগের উপসর্গ, না কি নেপথ্যে অন্য কারণ?

অনেকেই রাতে ঘুমের মধ্যে কথা বলেন। তবে ঘুমের মধ্যে কী ঘটছে, এটা তো মনে থাকে না। দেখা গেলো পাশে কেউ আছেন, পরদিন সকালে অনেক কথাই বলে দিচ্ছে আপনার সম্পর্কে বা কাজের, যে কথাগুলো তার জানার কথা না।তাহলে কীভাবে জানলেন পাশের জন! হয়ত আপনি জানেনই না ঘুমের মধ্যে যে কথা বলেন।

ছোট-বড় সবার মধ্যেই এ প্রবণতা দেখা যায়। যখন জেনে গেছেন ঘুমের মধ্যে কথা বলেন, এটি কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করছে নিশ্চয়। আপাত ভাবে এটা কোনো সমস্যা নয়। তবে এই ধরনের অভ্যাসের নেপথ্যে লুকিয়ে থাকে বহু কারণ। সেগুলো জেনে রাখাটা খুবই জরুরি।

১. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে, ঘুম থেকে উঠতেও হবে নির্দিষ্ট সময়ে। তাহলে এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।

২. প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম খুব দরকারি। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে এই অভ্যাস আস্তে আস্তে কেটে যায়। ঘুমের ঘাটতি এবং অত্যধিক ক্লান্তির কারণে এমন হতে পারে।

৩. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভারী খাবার খেলেও এই সমস্যা হয়। সেটিও কমাতে পারলে ভালো। হালকা খাবার খেলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যা কমে। তাছাড়া রাতে হালকা খাবার খেলে হজমের সমস্যাও হয় না।

৪. সন্ধ্যার পরে চা বা কফি জাতীয় পানীয় খেলে গভীর ঘুম হয় না। তাতে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা বাড়ে। ঘুম যদি গভীর হয়, তাহলে এই ধরনের সমস্যা  হয় না।

৫. ঘুমাতে যাওয়ার আগে কী ফোন ঘাঁটেন? এটিও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করুন। ঘুমের মধ্যে কথা বলার অভ্যাস কিছুটা হলেও কমবে।