ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে যে শর্ত দিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নিউজ ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ভারতসহ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক আশা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সেই সম্পর্ক হতে হবে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

ড. ইউনূস বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পরবিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান টেলিফোনে এবং শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা আমার সাথে সাক্ষাৎ করে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছেন। আমার অনুরোধে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৭ জন বাংলাদেশি যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন সে দেশের সরকার। ইতোমধ্যে তাদের কয়েকজন দেশে ফিরে এসেছেন। এই ক্ষমা প্রদর্শন ছিল অতি বিরল একটি ঘটনা। এ জন্য আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি আপনাদের সবার পক্ষ থেকে।’ 

তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত সরকারপ্রধানের সঙ্গে আমার টেলিফোনে যোগাযোগ হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। আমরা ভারত এবং অন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। তবে সেই সম্পর্ক হতে হবে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে। ভারতের সাথে আমরা ইতিমধ্যে বন্যা মোকাবিলায় উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার আলোচনা শুরু করেছি। দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমি SAARC রাষ্ট্র গোষ্ঠী পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছি।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের দেশ যেন একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে সম্মানের সাথে পরিচিত হয়। দেশের পরিকল্পনা যেন দেশের মানুষকেন্দ্রিক হয়, কোনো নেতা বা দলকেন্দ্রিক নয়। আমরা স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের অহেতুক কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে দেখেছি, যেগুলো কখনোই দেশের মানুষের জন্যে ছিল না, বরং এর সাথে জড়িত ছিল কুৎসিত আমিত্ব এবং বিশাল আকারের চুরি। চলমান এবং প্রস্তাবিত সকল উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর যাচাই-বাছাই করার কাজ ইতিমধ্যে আমরা শুরু করেছি। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর্যায় বিবেচনা করে বাকি কাজে ব্যয়ের সাশ্রয় এমনকি প্রয়োজনবোধে তা বাতিল করার কথা বিবেচনা করা হবে। দেশের মানুষকে আর ফাঁকি দেওয়া চলবে না। কর্মসংস্থান তৈরি  করবে এমন প্রকল্পগুলোকে আমরা অগ্রাধিকার দেব।’প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির উদ্দেশে এটি তার দ্বিতীয় ভাষণ। এর আগে গত ২৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি।