সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে কাজ করছি : তথ্য উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বুধবার

সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে কাজ করছি : তথ্য উপদেষ্টা

সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে কাজ করছি : তথ্য উপদেষ্টা

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিগত সরকার বেশ কিছু আইন দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করেছে, বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা আইন। আমরা এই আইন নিয়ে কাজ করছি। মূল কথা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন আমরা রাখব না। গতকাল সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা অবশ্যই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই। বিগত বছরগুলোতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে নিচের দিকে ছিল। বাংলাদেশে সাংবাদিকরা নানাভাবে হয়রানির শিকারও হয়েছেন। আমরা দেখেছি, সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কী প্রহসন করা হয়েছে।

হেলেন লাফেভ সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ওয়েজ বোর্ড নিয়ে অসন্তোষ আছে, বেতন কাঠামো কম হওয়ায় তরুণরা সাংবাদিকতার পেশায় আকর্ষণ হারাচ্ছে। তাই ওয়েজ বোর্ড সংস্কারের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রাসঙ্গিকতাও দিন দিন বাড়ছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে যৌথভাবে এ বিষয়ে কাজ করা যায়। যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের চলমান যৌথ প্রকল্প অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নতুন ক্রিয়েটিভ কোনো প্রকল্প নেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে।

কমার্শিয়াল কাউন্সেলর জন ফে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির মেটা, গুগল, মাইক্রোসফট, ওরাকল-এর বিনিয়োগ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় স্বার্থরক্ষা করে যে কোনো বিনিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাই। পাশাপাশি এই কোম্পানিগুলোর ডেটা সেন্টার ভারতের পরিবর্তে বাংলাদেশে স্থাপনেরও অনুরোধ জানানো হয় প্রতিনিধি দলকে।

সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে পারস্পরিক অংশীদারি ও সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই সরকারের কঠোর ও অনমনীয় অবস্থান সম্পর্কে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে অবহিত করেন।