শুরু হচ্ছে যৌথ বাহিনীর অভিযান : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নিউজ ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ০৯:৪৬ এএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার

শুরু হচ্ছে যৌথ বাহিনীর অভিযান : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

শুরু হচ্ছে যৌথ বাহিনীর অভিযান : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আগামী বুধবার থেকে দেশজুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে সশস্ত্র বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনী সমন্বিতভাবে এ অভিযান চালাবে। এতে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থানা ও পুলিশ স্থাপনা থেকে লুট করা আগ্নেয়াস্ত্র, সন্ত্রাসী-দুর্বৃত্তদের কাছে থাকা অস্ত্র এবং ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্সধারীরা আগ্নেয়াস্ত্র জমা না দিলে সেগুলোও উদ্ধার করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা য়ায়।

গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান জানান, ‘আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এরই মধ্যে লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্রের মালিককে এসএমএসের মাধ্যমে লাইসেন্স স্থগিত এবং স্থগিত করা লাইসেন্সের অনুকূলে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে নোটিশও দেওয়া হয়েছে। যারা ওইদিনের মধ্যে জমা দেবেন না, পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর, বুধবার থেকে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চলবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের (রাজনৈতিক-৪ শাখা) উপসচিব মো. আরিফ-উজ-জামান গতকাল রোববার জানান, মঙ্গলবারের মধ্যে নির্দেশনা মেনে লাইসেন্সধারীরা থানায় অস্ত্র ও গুলি জমা না দিলে পরদিন থেকেই তা অবৈধ হয়ে যাবে। সেসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং লাইসেন্সধারীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে।

মন্ত্রণালয়ের অন্য এক কর্মকর্তা জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযানের জন্য এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের জেলা পুলিশ সুপার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি এবং গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্য সদস্যদের সমন্বয়ে আজ সোমবার কোর কমিটির সভা করতে বলা হয়েছে। সভায় স্থগিত করা লাইসেন্সের তালিকা পর্যালোচনা করা হবে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালাতে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‍্যাব, আনসার সমন্বয়ে যৌথ অপারেশন টিম গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ কমিশনার সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য যৌথ অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, এরই মধ্যে সদর দপ্তর থেকে প্রত্যেক জেলা পুলিশ সুপারকে অবৈধ অস্ত্রবিরোধী অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলির মধ্যে গত শনিবার পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৭২টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র এবং ২ লাখ ৮৬ হাজার ২১৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ২২ হাজার ২০১টি টিয়ার গ্যাসের শেল এবং ২ হাজার ১৩৯টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।

সরকার পতনের আগে ও পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার সময় থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট হয়। সেসব অস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বারবার অনুরোধ জানানো হয় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে। সর্বশেষ আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

এ ছাড়াও গত ২৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে বেসামরিক ব্যক্তিদের দেওয়া সব অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।