জ্বালানি তেলের দাম কমলো

নিউজ ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ১১:৩১ এএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রোববার

জ্বালানি তেলের দাম কমলো

জ্বালানি তেলের দাম কমলো

দেশের বাজারে কমেছে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে সেপ্টেম্বর মাসের জন্য জ্বালানি তেলের এই মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। ডিজেল ও কেরোসিন লিটারপ্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা এবং অকটেন ও পেট্রলের মূল্য লিটারপ্রতি ৬ টাকা কমানো হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের ঘোষিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।জ্বালানি তেলের নতুন দর আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে। এর আগে আগস্ট মাসে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত ছিল।

গতকাল শনিবার জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা; অকটেন ১৩১ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা এবং পেট্রলের মূল্য ১২৭ টাকা থেকে কমিয়ে ১২১ টাকা করা হয়েছে।

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ চলতি বছরের মার্চ থেকে শুরু করেছে সরকার। সে হিসাবে প্রতি মাসে নতুন করে মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য নির্ধারণ করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৭৫ লাখ টন।এর মধ্যে চাহিদার প্রায় ৭৫ শতাংশই পূরণ হয় ডিজেলে। বাকি ২৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয় পেট্রল, অকটেন, কেরোসিন, জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েলসহ বিভিন্ন জ্বালানি তেলে।

অকটেন ও পেট্রল বিক্রিতে সব সময় বিপিসি লাভ করে। মূলত ডিজেল বিক্রির ওপরই বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। ডিজেল সাধারণত কৃষি সেচ, পরিবহন ও জেনারেটরে ব্যবহার করা হয়।

জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের মূল্য নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ।

জ্বালানি বিভাগ জানায়, প্রতিবেশী দেশ ভারত ছাড়াও উন্নত বিশ্বে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত হিসেবে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি ঘোষণা করে সরকার। এ পদ্ধতি চালু হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমলে দেশে কমবে আবার বাড়লে দেশের বাজারেও বাড়বে।