যারা আনসারের ছদ্মবেশে এসেছিল তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিশৃঙ্খলা করা : উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

নিউজ ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ০৩:৩৬ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২৪ মঙ্গলবার

যারা আনসারের ছদ্মবেশে এসেছিল তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিশৃঙ্খলা করা : উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

যারা আনসারের ছদ্মবেশে এসেছিল তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিশৃঙ্খলা করা : উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

সচিবালয়ের সামনে আনসার সদস্যদের হামলায় আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অন্যদের খোঁজখবর নিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

গতকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢামেকে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কেবিনে থাকা শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তারা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানসহ অনেকে।

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, গতকালকের ঘটনায় আমরা খুবই ব্যথিত। যারা আনসারের ছদ্মবেশে এসেছিল, তাদের দাবি আদায়ের এজেন্ডা ছিল না, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। আপনারা দেখেছেন লাঠি তাদের স্টকে ছিল। আমরা দেখেছি কীভাবে তারা ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে। আহত সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ আগের চেয়ে ভালো আছে। দুজন পথচারীও আহত আছে।

তিনি আরও বলেন, যে ছাত্ররা স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, যারা আমাদের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ, তাদের রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে মেরেছে। তাদের দাবি ছিল রাত ১০টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন করে জাতীয়করণ করতে হবে। তারা অসম্ভব ও অবাস্তব দাবি তুলেছিল। এই জাগ্রত ছাত্রসমাজ যারা আন্দোলন করে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, তারা আবারও অপরিসীম ত্যাগের ভূমিকা রাখে। পুরো পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে তারা। যারা ষড়যন্ত্র করবে, তারা সফল হবে না। প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুরোধ জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, যারা সঠিক পথে দাবি আদায়ের আন্দোলন করছেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ, বিবেচনা করে দেখবেন ১৭ বছরের বৈষম্য ও শোষণ ১৭ দিনে কি ঠিক করা যায়? ধৈর্য ধরেন নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় দাবি জানান, আমরা জনগণের পক্ষ থেকে এসেছি, কোনও দলের প্রতিনিধি নই। সবার স্বার্থ নিশ্চিত হয়, এমনভাবে কাজ করবো। তবে সেটা সময় লাগবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, মনে হচ্ছে ধান কাটার মৌসুমের মতো দাবি আদায়ের মৌসুম শুরু হয়েছে। প্রতিটা দাবির সঙ্গে আর্থিক সংশ্লিষ্ট আছে। যেখানে সরকারের ব্যয় বাড়বে। সরকারের রাজস্ব তো রাতারাতি বেড়ে যাবে না। কীভাবে দাবি মেটাবো, টাকা ছাপতে পারি, তবে টাকা ছাপলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। তখন সবকিছুর দাম বেড়ে যাবে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সবকিছু হবে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার বানের জলে ভেসে আসেনি। ছাত্র-জনতা রাজপথে রক্ত দিয়ে এই সরকারকে এনেছে। এটা জনপ্রত্যাশার সরকার। তবে আমাদের সময় দিতে হবে।