বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে

নিউজ ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ০২:২৩ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২৪ রোববার

বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে

বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে

স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের ১১ জেলা। উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, পানি কমে তার উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এরই মধ্যে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে দেশের চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৫১ লাখ মানুষ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বর্তমানে দেশের ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার জেলার ৭৭ উপজেলা বন্যায় প্লাবিত এবং ৫৮৭টি ইউনিয়ন বা পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বন্যায় ১১ জেলায় ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৯০১ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫০ লাখ ৯৩ হাজার ৫৩০ জন। মারা গেছেন ১৮ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ৫ জন, কুমিল্লার ৪ জন, নোয়াখালীতে ৩ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুর জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য মোট ৩ হাজার ৫১৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট তিন লাখ এক হাজার ৯৯৩ জন মানুষ এবং ২১ হাজার ৬৯৫টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবার জন্য ৭৬৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।

গতকাল শনিবার বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীর পানি কমার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এবং ভারতের ত্রিপুরায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি এবং উজানের নদ-নদীর পানি কমার প্রবণতা অব্যাহত আছে। ফলে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতি শুক্রবার থেকে উন্নতি হচ্ছে এবং অব্যাহত আছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদী-সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানেও ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ অঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরী, ফেনী, গোমতী, হালদা নদী-সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি কমছে, অন্যদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। এ অবস্থা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ করছে, যা ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে বুলেটিনে জানানো হয়েছে।

কোন নদী বিপৎসীমার কত উপরে: গতকাল শনিবার দেশের ৬টি নদীর পানি ৯টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছিল। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের ১১৬টি স্টেশনের মধ্যে ২২টি পয়েন্টে পানি বাড়ার প্রবণতা দেখা গেলও কমছিল ৮৪ পয়েন্টে আর অপরিবর্তিত ছিল ৪ পয়েন্টে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৯টায় কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। খোয়াই নদীর পানি হবিগঞ্জের বাল্লা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর মৌলভীবাজার পয়েন্টে মনু নদীর পানি বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল।

চট্টগ্রামের রামগড় স্টেশনে ফেনী নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। সকালে কুশিয়ারা নদীর পানি সিলেটের অমরশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, আর শেওলা পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার এবং শেরপুর-সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুনামগঞ্জের মারকুলী পয়েন্টে এই নদীর পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল। আর ফেনীর পরশুরাম স্টেশনের সঙ্গে ‘যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন’ হওয়ায় সেখানকার মুহুরী নদীর বিষয়ে তথ্য দিতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড।

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস: চলমান বৃষ্টিপাত ও বন্যা পরিস্থিতিতে দেশের তিন বিভাসে ভারি বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটির নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, আজ রোববার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে খুলনার কয়রায়।

ব্যুরো, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিভিন্ন জেলার বন্যা পরিস্থিতির তথ্য—

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় সৃষ্টি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে, ক্রমশই যাচ্ছে অবনতির দিকে। ছয় দিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল ও ফেনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ওঠায় আরও কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায়।

বিভিন্ন বাঁধ ও হালদা নদীর ভাঙনে প্লাবিত হয়েছে ফটিকছড়ি, হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন। একই পরিস্থিতি বোয়ালখালী, সীতাকুণ্ডতেও। গতকাল রাত ১০টার দিকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৬টি গেটে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হয়েছে। ফলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, বোয়ালখালী, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলায়।

কুমিল্লা: ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে তীব্র স্রোতে গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়াসহ বিভিন্ন উপজেলার লোকালয়ে হু হু করে ঢুকছে পানি। এতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দিশেহারা হয়ে ঘরবাড়ি ফেলে প্রাণে বাঁচতে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন। নদীতে বিলীন হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দুর্গত এলাকায় ভেঙে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও মোবাইল ফোনের সংযোগ সুবিধা। ব্যাহত হচ্ছে ত্রাণ কার্যক্রম ও উদ্ধার তৎপরতা। এতে বাড়ছে বিপর্যয়ের মাত্রা।

কুমিল্লার গোমতী ঘেষা বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোটসহ ১২টি উপজেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষ ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী। নারী-শিশুসহ পরিবার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে নানা বয়সী মানুষ। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতেও নেই পর্যাপ্ত খাবার।

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের খোয়াই, করাঙ্গী ও সোনাই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করার পর এখন কমতে শুরু করেছে। বাসাবাড়ি থেকে পানি ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে। ফলে অনেকটা স্বস্তি ফেলতে শুরু করেছে বাসিন্দারা। খোয়াই নদীর সবকটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে নদীর জালালাবাদ অংশে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করার পর এখন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বন্যাকবলিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেখা দিয়েছে রোদের আলো। ভারি বর্ষণ না হওয়ায় গতকাল আখাউড়া-কসবার বিভিন্ন গ্রামের অনেক অংশে বন্যার পানি কমে গেছে। তবে এখনো পানিবন্দি আছেন ৩ শতাধিক মানুষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার সকাল পর্যন্ত আখাউড়া উপজেলার হাওড়া নদীর পানি আরও ৪ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বর্তমানে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ১২ ঘণ্টায় আখাউড়ার হাওড়া নদীর পানি আরও ৪ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বর্তমানে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বন্যার পানিতে বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে এখনো বেশ কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর : কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি থামলেও নামছে না পানি। উল্টো জেলা শহরসহ ৫টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়তে শুরু করেছে উজানের পানির চাপ। খাল-বিল দিয়ে ঢুকছে পানি।

জানা যায়, সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ, কুশাখালী, কমলনগর উপজেলা, রামগতি ও রামগঞ্জ উপজেলায় ১৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া এসব এলাকার বেশিরভাগ সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলো বন্যার্তদের আশ্রয়ের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালী: নোয়াখালীতে ঝলমলে রোদ উঠেছে। তবে ফেনী থেকে উজানের পানির চাপ বাড়ায় সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, বেগমগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বরং আরও ১ থেকে ২ ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানকার স্থানীয়রা উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন। সদরের পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে চাটখিল ও সোনাইমুড়ীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

এখনো পানিতে নিমজ্জিত নোয়াখালীর সব ইউনিয়ন ও পৌরসভা। তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়কর অবস্থা ফেনীর সীমান্তবর্তী নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ ও কবিরহাট উপজেলা।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে জেলায় বর্তমানে ৮২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পানিবন্দি হয়ে আছে আরও ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৭০০ জন বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত জেলায় ৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন।

খাগড়াছড়ি: দুই দিন ধরে বৃষ্টি বন্ধ থাকায় খাগড়াছড়ির চেঙ্গী, ফেনী নদীর পানি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। কমছে মাইনী নদীর পানি। তবে খাগড়াছড়ির মেরং ইউনিয়নে কয়েকশত পরিবার এখনো পানিবন্দি হয়ে আছেন। জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের সোবাহানপুর, হাজাছড়া, ২ নম্বর কলোনি, ৩ নম্বর কলোনি, বড় মেরুং, ছোট মেরং বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পানিবন্দিদের এমন চিত্র।

ফেনী: ফেনীর পরশুরাম, ছাগলনাইয়াতে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমছে। তবে এই দুই উপজেলার পানি কমলেও জেলা শহরের সর্বত্র প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ছাড়াও ফেনী পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডেই বন্যার পানিতে ঢুকেছে। ফেনী জেলা প্রশাসন এসব নিশ্চিত করেছে। এদিকে বন্যার্তদের জন্য রেলওয়ের উদ্যোগে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারী ট্রেন।

মুন্সীগঞ্জ: ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া পয়েন্টে মেঘনা নদীর পানি বেড়েছে। গজারিয়ায় মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে জেলার ধলেশ্বরী নদীর রিকাবিবাজার, পদ্মা নদীর ভাগ্যকূল ও মাওয়া পয়েন্টে পানি রয়েছে বিপৎসীমার নিচে।