ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৫ ১৪৩১

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণসভার আয়োজন করছে অন্তর্বর্তী সরকার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১৬, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণসভার আয়োজন করছে অন্তর্বর্তী সরকার

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণসভার আয়োজন করছে অন্তর্বর্তী সরকার

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণসভার আয়োজন করছে অন্তর্বর্তী সরকার। সভায় শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, স্মরণসভা আয়োজন করতে কিছু ব্যয় সম্পৃক্ত থাকবে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এ ব্যয় করা হবে। বৈঠকে এ লক্ষ্যে একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তিনি জানান, রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় এ আয়োজনে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা স্মরণসভার প্রস্তুতির বিষয়টি দেখছেন। বৈঠকে উপস্থাপিত  প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপে বলা হয়, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সব শহীদের স্মরণে ১৪ সেপ্টেম্বর অথবা সুবিধাজনক সময়ে এক স্মরণসভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা এ স্মরণসভা বাস্তবায়নের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। স্মরণসভা সম্পর্কিত সব কর্মকাণ্ড সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সময়-স্বল্পতার কারণে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অভিজ্ঞ ও প্রয়োজনীয় দক্ষতাসম্পন্ন এক বা একাধিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

এতে আরও বলা হয়, স্মরণসভা যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার প্রয়োজন। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে প্রয়োজনীয় অর্থ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের রাজস্ব বাজেটে সংকুলান না হওয়ায় অতিরিক্ত অর্থ চেয়ে অর্থ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সরকার স্মরণসভায় শহীদদের পরিবারকে সম্মাননা দেবে। ‘বাংলা ব্লকেড’, ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এবং ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ ঘটনার ওপর উপস্থাপনা থাকবে। কারণ, শব্দগুলো গণআন্দোলনে টনিক হিসেবে কাজ করেছে। 

এদিকে গতকাল বৈঠক শেষে দেশজুড়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়েও অর্থ উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, এলএনজি আমদানিসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ে যেসব প্রস্তাব আসছে, সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনকাটার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে দুটি প্রস্তাবে ২১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫ হাজার টন এমওপি সার ও ফসফেট ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডা থেকে ৪০ হাজার টন এমওপি সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৩৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া সাইপ্রাসভিত্তিক মিড গালফ ইন্টারন্যাশনাল ২৫ হাজার টন রক ফসফেট আমদানি হবে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের আওতায় এ ফসফেট কিনতে ব্যয় হবে ৮০ কোটি ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়