বিয়ের পর বন্ধুকে বাসরঘরে পাঠালেন বর!

7

অনলাইন ডেস্ক : নেত্রকোনার মদন উপজেলায় এক অদ্ভুত ও নিন্দনীয় ঘটনার জন্ম দিয়েছে দুই বন্ধুর ‘প্রতিশ্রুতি’। বিয়ের পর নববধূর সঙ্গে নিজে না থেকে বন্ধুকে বাসরঘরে পাঠান বর। নববধূ আপত্তি জানালে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আবু ঢানের ছেলে কেনতু মিয়ার সঙ্গে গত ২৫ সেপ্টেম্বর পাশের ইউনিয়নের এক তরুণীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর নববধূকে বাড়িতে নিয়ে আসেন কেনতু মিয়া। কিন্তু বাসর রাতে নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শরিফ মিয়ার কাছে দেওয়া এক ‘প্রতিশ্রুতি’ রক্ষার জন্য তিনি বন্ধুকে বাসরঘরে পাঠিয়ে দেন।

নববধূ বিষয়টি বুঝতে পেরে তাতে আপত্তি জানান এবং পরবর্তীতে বাবার বাড়িতে চলে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে আরও জানা গেছে, গত কোরবানির ঈদে শরিফ মিয়া নিজেও বিয়ে করেছিলেন। সেই সময় দুই বন্ধুর মধ্যে কথিতভাবে ‘একজনের নববধূর সঙ্গে অন্যজনের সময় কাটানোর’ প্রতিশ্রুতি হয়।

শরিফ তার নববধূকে কেনতু মিয়ার সঙ্গে থাকার অনুমতি দিলেও, কেনতুর নববধূ এতে রাজি না হওয়ায় শরিফ বাসর যাপন করতে পারেননি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর মধ্যে সম্পর্কেও দেখা দিয়েছে দূরত্ব।

ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) নোয়াগাঁও গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কেনতু ও শরিফ দুজনের বাড়িতেই তাঁরা অনুপস্থিত। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হয়েছে, তবে কোনো সমাধান আসেনি।

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সেলিম মিয়া গনমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি সত্য। এ নিয়ে গ্রামে বৈঠক হয়েছে, কিন্তু এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।

এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ গনমাধ্যমকে বলেন, এমন ঘটনার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here