দুর্গাপুর প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট দোকানগুলোতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল কীটনাশক। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। ফলন বিপর্যয়, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কৃষকরা এখন চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তারা মনে করছেন, ভেজাল রোধ না করতে পারলে চাষাবাদে ভয়াবহ উৎপাদন বিপর্যয়ের আশঙ্কা আছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত রবিবার উপজেলার কাপাসাটিয়া বাজারে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা আব্দুল হামিদের দোকান থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক উদ্ধার করে পরে তা ধ্বংস করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামীণ কৃষকদের কাছে নিম্নমানের কীটনাশক অবাধে বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ কৃষক আসল-নকল কিংবা মেয়াদ যাচাই না করেই এসব কিনছেন। তবে জমিতে ব্যবহার করার পর কার্যকারিতা না থাকায় তারা প্রতারিত হচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষক লালু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমরা ভেজাল কীটনাশক কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। হামিদের দোকান থেকেই কিনে ক্ষেতে দেই। আল্লাহই জানেন এসব দিয়ে কী হয়।
আরেক কৃষক এমদাদুল হক বলেন, আগেও সারের মধ্যে লবণ মিশিয়ে ভেজাল বিক্রি করেছিল। ধরা পড়ে জরিমানাও দিয়েছিল। কিন্তু এখনও ভেজাল কীটনাশক বিক্রি করছে। আমরা খুব আতঙ্কে আছি।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. রায়হানুল হক জানান, আমরা ওই দোকান থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু কীটনাশক পেয়েছি। পরবর্তীতে তা ধ্বংস করা হয় এবং দোকান মালিককে শোকজ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি মাঠ পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। দোকানিরা লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করবে, তবে কৃষকদের সেবাই তাদের প্রধান দায়িত্ব। আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। কৃষকদের ক্ষতি হতে পারে এমন কোনো বালাইনাশক বিক্রি করলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।