নেত্রকোনায় আন্দোলনের মুখে একমাস সময় বেধে দিয়ে বাতিল হল রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান। সোমবার সকাল ১০টায় থেকে পূর্ব নির্ধারিত সাতপাই রেলগেট এলাকায় রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা সাড়ে বারেটা পর্যন্ত সড়কে শুয়ে অভিযান বন্ধের দাবী জানায় ব্যবসায়ীসহ রেলের আশপাশের মানুষজন। তাদের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দও একাত্মতা জানিয়ে কর্মসূচীতে অংশ নেয়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হলে সেনাবাহিনী সহ আইনশৃঙ্খলা বাহীনির বাড়তি সদস্যরা আসে। তারপরও অবরোধকারীরা ভেকুর সামনে গিয়ে দাড়াঁলে সড়কে জ্যামের সৃািষ্ট হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসেন আন্দোলকারী ও রেল কতৃপক্ষ। এক পর্যায়ে দুপুরে পুনরায় একমাস বাড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান না করে আগামী ৮ আগস্টের পূর্বে জমিরি বৈধ কাগজ করার নির্দেশ দিয়ে ফিরে যান রেল কর্তৃপক্ষ। যারা বৈধভাবে লিজ নেয়া কাগজ দেখাতে পারবে তাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করবে না রেল কতৃপক্ষ এমনটা জানালেন অভিযান পরিচালনা করতে আসা বাংলাদেশ রেলওয়ের ডেপুটি কমিশনার (রেলওয়ে ভূমি ইমারত) ও বিভাগীয় ভূ সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন মাহমুদ। তিনি আরও বলে গেছেন বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে সকলকে নিজ নিজ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অভিযানকারী কতৃপক্ষ ও ষ্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মে রেলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করার কথা থাকলেও রেলের স্থানে থাকা ব্যবসায়ী ও বসবাসকারীদের আন্দোলনের মুখে জেলা প্রশাসক সময় দিলে সোমবার (৭ জুলাই) ১ মাস ২২ দিন পর আবারও উচ্ছেদ অভিযান করার কথা ছিলো। কিন্তু রেলের স্থানে থাকা ব্যবসায়ীরা জানান দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে রেলের জায়গায় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কাঁচা বাজার সহ ছোট বড় প্রায় শতাধিক দোকান তৈরি করে ব্যবসা করে আসছেন স্থানীয়র ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করে নির্দিষ্ট কিছু অংশে রেলের উচ্ছেদ অভিযানকে ষড়যন্ত্র বলছেন তারা।
জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এস এম মনিরুজ্জামান দুদু বলেন, আরাফাত উল্লাহ জুয়েল আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় ৮৪ টি দোকানের অধিকাংশ লিজ নিয়ে নেয়। তার অবৈধ লিজ বাতিল করে যাদের দেয়া দরকার তাদেরকে লিজ দিতে হবে। এছাড়া রেলের ভূমি নির্ধারণ করে দিতে হবে কোন কোন স্থাপনা অবৈধ। পরবর্তীতে আমরা সহায়তা করবো তাদেরকে।