মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা চাইলেন তথ্য উপদেষ্টা
নিউজ ডেস্ক
মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা চাইলেন তথ্য উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।রোববার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার দফতরের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে, সর্বস্তরের জনগণকে আমরা সাথে পেয়েছি। এ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশবাসী প্রতি আমাদের কিছু কমিটমেন্ট তৈরি হয়েছে আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধরে রেখে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার, আন্দোলনে আহত নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন ও দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা দেওয়া এবং আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা এই তিনটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, পুরো সময়টা জাতিসংঘ এবং হিউম্যান রাইটস সংগঠনগুলো আমাদের সাথে ছিল এজন্য আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই আমরা তাদেরকে পূর্বেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম যে বিগত সরকার চূড়ান্ত ক্র্যাক ডাউনের দিকে যাবে পরে সেই ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা চাই জাতিসংঘের অধীনে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিশ্ববাসী জানুক আন্দোলনের এই সময়ে বাংলাদেশে কী কী ঘটেছে, আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার প্রতি কতটা নৃশংস ছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ।
অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে রোরি মুঙ্গোভেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে তরুণেরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, তাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অনুপ্রাণিত হয়েছেন। এ ঘটনাটিকে বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন তিনি। সত্য ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় তারা সর্ব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানান রোরি মুঙ্গোভেন।
প্রতিনিধি দলের অপর সদস্য আন্দোলনের সময় সংগঠিত ঘটনাগুলোর তথ্য প্রমাণ সংরক্ষণ করার জন্য আইন, স্বরাষ্ট্র এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত ভাবে উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন, যেন ভবিষ্যত তদন্তে এ প্রমাণ গুলো কাজে লাগানো যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ওটিপি প্লাটফর্মে আগের সরকারের মতো পর্যবেক্ষণের নামে নিয়ন্ত্রণ না করার অনুরোধ করে প্রয়োজনে এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রেরণ করারও অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
- ৩ পার্বত্য জেলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান ড. ইউনূসের
- গ্যাস আমদানির পথ খুঁজছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ
- সরকারি চাকরিতে বঞ্চিতদের জন্য বিশেষ কমিটি গঠিত
- বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় একদিনের বেতন দিয়েছে ডিএসসিসি
- পুলিশে দুর্নীতি হলে কোনো ছাড় নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- প্রধান উপদেষ্টা শিগগির সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করবেন : উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে : অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা
- রাজধানীর তেজগাঁও কার্যালয়ে অফিস শুরু করেছেন প্রধান উপদেষ্টা
- বিচারের আগে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নয় : তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
- আগামী ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা দিলো তথ্য মন্ত্রণালয়