ব্যাংক খাতে জালিয়াতির তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংক
নিউজ ডেস্ক
ব্যাংক খাতে জালিয়াতির তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংক
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক খাতে ঘটে যাওয়া জাল-জালিয়াতির তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতোমধ্যে ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকে তদন্ত চলছে। বাকি আরও কয়েকটি ব্যাংকে অচিরেই তদন্ত শুরু হবে। তদন্তের তালিকায় আছে এস আলম গ্রুপের দখল করা ৬ ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি খাতের আরও কয়েকটি ব্যাংক। সব মিলে ১৭টি ব্যাংকে আপাতত তদন্ত হবে। পরে এর আওতা আরও বাড়ানো হবে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে ব্যাংক খাতে নজিরবিহীন লুটপাট ও জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৭টি ব্যাংক দখল করে জালিয়াতি করা হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে লাখ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে জালিয়াতির ঘটনা শুরু হয় হলমার্ক কেলেঙ্কারির মাধ্যমে। এরপর থেকে একে একে বেসিক ব্যাংক, এ্যানন টেক্স গ্রুপ, ক্রিসেন্ট লেদার গ্রুপের মতো বড় বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হয়। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয় ব্যাংক দখল। প্রথমে দখল করা হয় ইসলামী ব্যাংক। এরপর একে একে ৭টি ব্যাংক দখল করে এস আলম গ্রুপ। ওইসব ব্যাংককেও চলে নজিরবিহীন লুটপাট। ফলে সার্বিকভাবে ব্যাংক খাতের অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। যা এখন প্রকাশ পাচ্ছে।
কোন ব্যাংক থেকে কি পরিমাণ অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে বের করে নেওয়া হয়েছে, ওইসব অর্থের সুবিধাভোগী কারা, কিভাবে অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে, ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে কাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এসব তথ্য খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তদন্তের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে গত ১৫ বছরে কারা কত টাকা লুটপাট করেছেন সেগুলো বের করা হবে। এর মধ্যে কি পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে সে বিষয়েও তদন্ত হবে। ব্যাংক থেকে এলসির মাধ্যমে ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছে বেশি। এছাড়া বৈদেশিক দেনা শোধ ও অনলাইনের মাধ্যমেও টাকা পাচারের ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র জানায়, ওই সময়ে কিছু ঘটনার তদন্ত হলেও নেপথ্য নায়কের ব্যাপারে কোনো তদন্ত হয়নি। এখন সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া কয়েকটি ঘটনার তদন্ত হলেও বিশদ অনুসন্ধান করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উপরের চাপের মুখে পরিদর্শক দলকে প্রত্যাহারের করে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এ কাজে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবকটি পরিদর্শন বিভাগকে যুক্ত করা হয়েছে। এবারের পরিদর্শনে টাকা লুটপাটের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার অনিয়মের বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটি দখল হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণ ও বৈদেশিক মুদ্রার তথ্য তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা অচিরেই এসব তদন্ত শুরু করবে। পাশাপাশি সংঘটিত অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ব্যাংকের বাইরের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হবে।
- জিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করবে অন্তর্বর্তী সরকার
- বাংলাদেশকে প্রায় ১০০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
- ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের নির্ধারিত সীমা উঠে গেল : কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- এফবিসিসিআই এর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন হাফিজুর রহমান
- পুঁজিবাজারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত হবে : বিএসইসি চেয়ারম্যান
- কালোটাকা সাদা করার পথ বন্ধ হচ্ছে : এনবিআর
- ঢাকায় মার্কিন প্রতিনিধি দল, অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে পাশে থাকার বার্তা
- টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু আগামীকাল
- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত
- সহসাই দেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়বে না : জালাল আহমেদ